আসছে পবিত্র ঈদ উল আযহা। পবিত্র এই দিনে অনেক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এই কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে সেখানে ফেলা উচিত নয়। যত্রতত্র ফেলার কারনে পরিবেশ দূষিত হয়। এ সমস্ত উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণ করার বিষয়ে আমাদের সকলের যত্নশীল হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে তৎপর থাকলে পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে আমাদের করনীয়-
১। পশু জবাইয়ের পূর্বে নির্দিষ্ট একটি স্থানে গর্ত করে নিতে হবে।
২। গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যাক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দিতে হবে।
৩। জবাইকৃত পশুর রক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমা কিংবা যেখানে সেখানে ফেলানো যাবেনা।
৪। জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন ব্যতিত অন্যত্র ফেলা যাবেনা।
৫। কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য প্রয়োজনবোধে নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদকে সংবাদ দিতে হবে।
৬। কোরবানির পরে আপনার পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব পশুর রক্ত, মল-মূত্র পরিস্কার করুন।
৭। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশ সম্মত পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন।
কোরবানি একটি ধর্মীয় অনুশাসন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করুন।
ঈদ মোবারক
উপজেলা নির্বাহী অফিস
সুজানগর, পাবনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস